হরিণ অন্তপ্রাণ দুখাগোষ্ঠী
আগের যুগে দেখা যেতো, এক একটা গোষ্ঠী তাদের জীবন যাপনে বিশেষ কোন প্রাণীর উপর নির্ভর করছে। এই যেমন- আমাদের অঞ্চলে গরু বা মহিষের প্রচলন ছিল। আরবে ঘোড়া বা উট। তেমনি দুখা এমনই এক গোষ্ঠী যারা কিনা হরিণের উপর নির্ভর করে তাদের যাপিত চাহিদা পূরণ করছে যেমন: চাষ করা বা যানবাহন হিসেবে। যার কারণে তারা হরিণ মানব হিসেবেও পরিচিত।
এই আধুনিক সময়েও দুখারা যানবাহন হিসেবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। প্রায় চারহাজার বছর ধরে এই জনগোষ্ঠী উত্তর মঙ্গোলিয়া বনের গভীরে বসবাস করছে। আমাদের অঞ্চলে গরু মহিষদের যেভাবে লালন-পালন করা হয়; তেমনি তারাও বলগা হরিণ পালন করে। জঙ্গলে বাস করলেও তারা রাশিয়ান নাগরিক। তবে ভাষার ক্ষেত্রে নিজস্বতা আছে এই জনগোষ্ঠীর । দুখা ভাষা বা দুখান ভাষা-ই তাদের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম।
গভীর জঙ্গলে প্রায় ২০০ পরিবার নিয়ে এদের বসবাস। তবে জঙ্গলে একই স্থানে সারা বছরে থাকে না তারা। বিভিন্ন মৌসুমে তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করতে হয় । মূলত আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করেই তাদের এই পরিবর্তন । তাছাড়াও বলগা হরিণ পালনের সুবিধার্থে তারা নানা মৌসুমে বনের নানান স্থানে বসবাস করেন।
২০০৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দুখারা তাদের পূর্বপুরুষদের অনুসরণে প্রকৃতি পূজার উপর ভিত্তি করে ধর্মীয় অনুশীলন করে আসছে। তবে বনের ভূত বা প্রেতাত্মার উপাসনাও তারা করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা ধারণা করে আসছে যে, যারা (ভূত) বনে রাজত্ব করে তাদের উপাসনা করাই উচিত।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম